বেজোড় সংখ্যায় ভীষণ রকম স্থিতি
নিয়ে স্বপ্নের তৃতীয় স্তরে জেগে উঠি
পৃথিবীর নির্জনতম গ্রামে।
গুটিবসন্তের মতো আমার একান্ত
গ্রামের শরীরে জেগে ওঠে ইব্রাহিমের
জোয়ার উঠান।
আমি ভিষণ তোরে সলতে উষ্কে
দিলে পুড়ে যায় পিতামহীর দক্ষিণ
হস্ত । আমার বুকের ঠিক
মাঝখানটায় লুকিয় যায় শীতল
বাষ্পের ইছামতী। মাছেরা মিছিল
নিয়ে এগিয়ে যায় বাতাবি লেবুর
বাগান ঘেঁষে, গ্রামের সবচেয়ে উচ্চ
জমিনে।যেখানে বৃষ্টি জলের স্থিতি
নেই বলে গজিয়ে উঠেনি এখনো
বুনোঘাস।
আমাদের ধরে ফেলে মন্ডল বাড়ির লাঠিয়ালেরা।
ওদের লাঠি থেকে আমাদের দূরত্ব
দুই হাত। তবে আমাদের রক্তের দূরত্ব
খুব জোড় দুই মিলিমিটার।
ঝুলিয়ে দেওয়া হোক আমাকে
মায়ের উদরস্থ ত্রি রংয়ের দড়িতে।
সাতাইশ হাত ঘরে সাড়ে পাঁচ হাতের
জায়নামাজ। তার উপর বসে আছেন
মাতা, উদরের দৈর্ঘ্য প্রস্থ নিয়ে নিয়ে।
আপাতত যে ধর্ম সংকটে আমরা,
স্থান খুঁজছি মায়ের উদরে পুনরায়।
আকাশে মেঘ সুখে দুখে যাতেই
ডাকুক না কেন।পাখিরা যেমন
গাছের পাজর সেলাই করে নেয়
নিজের আবরণ।তেমন করে আমরা
মিশে যাই
ছাতিমের পাতায়,
ফুলে,
ফুলের গন্ধে।
ছাতিম তলার আঘাত গুলো ঠিক
মনে নাই আমার।ছাতিমের গন্ধে
মাতাল হয়ে আমি ওজন শূন্য
হয়েছিলাম ক্ষণকাল।
কাঁটাতার কি আমার নিশ্বাসের ওজন
কেও তার ব্যাসার্ধের পেটে হজম
করে নেবে
হে মহাকাল???
জানেন দাদা –
স্বপ্নের বেজোড় তম প্রথম স্তরে কি
নিদারুণ অসারতার আঁধার নিয়ে
এখানে সন্ধ্যা নামে। সলতের
উষ্কানিতে এতো এতো আঁধারের
প্রলুবদ্ধ আহ্বান যে , মাছের পেটের
মতোই উজ্জ্বল ঠাহর হয় জননীর
মুখ।