Easy Paper Bird || Easy Paper Bird Making || Easy Paper Bird Craft

How to make Easy Paper Bird ? Watch the video carefully, the process is so easy and you can make Easy Paper Bird For Home Decoration. Like ,share and subscribe for more videos. Necessary Materials: 1. Origami paper & 2. Scissors 3. Color pen I am sure you will get exactly the same output of Paper Bird . If you follow my steps/ instructions carefully. It looks very beautiful throughout . You can make Easy Paper Bird as school assignment . _____________________________________________________________________ WATCH OUR OTHER VIDIOS:

Greeting Card Making With Paper And Glue: https://youtu.be/O-3wvNKt_m4

Easy Duck Drawing For Kids : https://youtu.be/2VZs1WKvwWA

Fish Origami Easy :https://youtu.be/FdaLzyq_EH8

How To Make A Easy Box : https://youtu.be/fpNpd3-yCaQ

How to Draw a Cow For Kids :https://youtu.be/1NuL95Zal4w

How to Make Paper CAT origami: https://youtu.be/KBX7rnta2Bg

Monster Doodle Drawing:https://youtu.be/nhdqDLQzuOc

Monster Doodles Art: https://youtu.be/Sngrad61Z1c

VISIT OUR SOCIAL LINKS: To buy ALL our ART MATERIALS and CRAFT products,

Visit: https://artwebbd.com/

FACEBOOK:@ArtwebBangladesh

https://m.facebook.com/ArtwebBangladesh/

TWITTER:@artwebbd

https://twitter.com/artwebbd

INSTAGRAM:@artwebbd https://www.instagram.com/artwebbd/?h…

MAIL US: [email protected]

#artwebbd #paperbird #crafttutorials #easypapercraft

How To Make Paper Insect || Paper Insect Craft Ideas || DIY Paper Toys

https://youtu.be/LA-GBWTsk0I

How to make How to make Paper Insect ? This is a Paper Insect For Kids .Watch the video carefully, the process is so easy and you can make the Paper Insect as paper toy. Like ,share and subscribe for more videos. Necessary Materials: 1. Origami paper & 2. Scissors 3. Color pen I am sure you will get exactly the same output of Paper Insect . If you follow my steps/ instructions carefully. It looks very beautiful throughout . You can make it as school assignment . _____________________________________________________________________

WATCH OUR OTHER VIDIOS: Greeting Card Making With Paper And Glue: https://youtu.be/O-3wvNKt_m4

Easy Duck Drawing For Kids :https://youtu.be/2VZs1WKvwWA

Fish Origami Easy :https://youtu.be/FdaLzyq_EH8

How To Make A Easy Box : https://youtu.be/fpNpd3-yCaQ

How to Draw a Cow For Kids :https://youtu.be/1NuL95Zal4w

How to Make Paper CAT origami: https://youtu.be/KBX7rnta2Bg

Monster Doodle Drawing:https://youtu.be/nhdqDLQzuOc

Monster Doodles Art: https://youtu.be/Sngrad61Z1c

আপনার এক্রেলিক পেইন্টিং সীল/বার্নিশ করা উচিত?

আপনার শিল্পকর্ম ভালভাবে  সংরক্ষণের প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হল আপনার এক্রেলিক পেইন্টিংকে সিল করা প্রয়োজন কিনা তা নির্ধারণ করা।বার্নিশ প্রয়োগের বিষয়ে সাধারণ উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে প্রক্রিয়াটির অসুবিধা, ফলাফল সম্পর্কে অনিশ্চয়তা এবং কোন ধরনের বার্নিশ ব্যবহার করতে হবে সে সম্পর্কে অজ্ঞতা।

Varnish artweb bd
Varnish artweb bd-1

আপনার এক্রেলিক পেইন্টিং সিল করার সুবিধাগুলি অনেক ক্ষেত্রে ত্রুটি গুলিকে ছাড়িয়ে যায়।

এক্রেলিক পেইন্ট সিল করার সুবিধাগুলি হল:

*পেইন্টিং এর চূড়ান্ত চেহারায় উন্নত

*রং গভীর করা

*কাজ রক্ষা করা

*ভবিষ্যতে ছবি পরিষ্কার করাকে  সহজ করা।

আপনি একটি এক্রেলিক পেইন্টিং সিল করতে কি ব্যবহার করবেন?

এক্রেলিক পেইন্টিং জন্য সেরা  কেম্লিনের বার্নিশ। ঐতিহ্যগতভাবে, বার্নিশটি প্রাকৃতিক উপকরণ থেকে তৈরি করা হয়েছিল এবং চিত্রগুলির উপর একটি আবরণ হিসাবে কাজ করে যা অপসারণ করা ও সহজ।

বার্নিশ পুরনো হলে, এটি সরানো হয় এবং পুনরায় প্রয়োগ করা হয়, এভাবে পেইন্টিয়ে রঙ সংরক্ষিত হয়।

বিজ্ঞানের বিকাশের সাথে সাথে কৃত্রিম পদার্থ থেকে তৈরি স্থায়ী বার্নিশগুলি আরও সাধারণ হয়ে উঠেছে।

artweb bd afrina varnish

আমার এক্রেলিক পেইন্টিং কখন বার্নিশ করা উচিত?

পেইন্টিং সম্পূর্ণ শুষ্ক না হওয়া পর্যন্ত বার্নিশিং প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে না। যদিও বাইরের স্তরটি আঁকার কয়েক ঘন্টা পরে শুকিয়ে যেতে পারে, তবে পেইন্টটি প্রায়শই নীচে ভেজা থাকে। বেশিরভাগ এক্রাইলিক পেইন্টিং এক সপ্তাহ পরে সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়া উচিত, তবে কিছু শিল্পী নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও বেশি সময় অপেক্ষা করেন।

পেইন্টের বেধ ; ব্যবহৃত অন্যান্য মাধ্যম; এবং রুমের আর্দ্রতা, তাপমাত্রা এবং বায়ুপ্রবাহ শুকানোর সময়কে প্রভাবিত করে।

Picasso and his artworks-1

Picasso And His Artworks

Picasso and his artwork: Our world is blessed by the artists who weave magic with their talent. Picasso’s paintings are a mirrored image of the magic Pablo Picasso wove in his time. A Spanish painter and sculptor who left his ineradicable mark on the twentieth century, painter continues to survive within the hearts and minds through his paintings.

The Treasure Of Picasso’s Paintings

Picasso paintings exhibit a soul of their own and are far-famed for his or her realistic look. they need been placed in numerous periods of his painting career specifically, the Blue, the Rose and also the Cubist periods. These paintings showcase Picasso’s talent and his fearlessness as a painter experimenting with completely different techniques and concepts.

Picasso treasured to color dead nature, musical instruments and friends. He went on the far side the foundations of teachers, exploring the painting art in his own manner. His paintings  stood tall and proud displaying a singularity of their own. Some notable paintings of painter embody- the 2 Saltimbanques (Harlequin And His Companion, 1901), Gertude Stein (1906), Les Demoiselles d’ Avignon (1907), Guernica (1937) and Weeping lady (1937).

Girl Before The Mirror(1932)
Les Demoiselles d’Avignon(1907)
Guernica (1937)
Picasso and his artwork-1
Three Musicians(1921)

Picasso’s ‘Guernica’ deserves a special mention as this painting is taken into account to be a strong statement in politics. portrayal the suffering and war induced  tragedy, this work is actually monumental and a mix of 2 designs, epic and pastoral.

These paintings are defined by their monochrome and cold effects, the coldness highlighted by the clever use of blue color. ‘La Vie’, ‘Evocation’, his ‘Self Portrait’ ar the names of a number of paintings from this era.

Paintings like ‘Woman With Crow’, ‘Acrobat With Young Harelequin’ and ‘Girl In Chemise’ ar from Picasso’s Rose amount and sometimes feature native individuals and characters from the industry.

Paintings just like the ‘Three Musicians’ and ‘Guitar’ marked the Cuban amount of Picasso’s art. The paintings delineate a transition of forms, from natural to geometric and angular.

His paintings represent themselves and are available alive in additional ways in which than one. They happen to be a standing image of types and ar a prized possession anyplace, anytime.

Paintings by painter were ne’er amateur. His art developed step by step, in phases, brightened and reinforced by expertise and real talent. His expression of raw emotions took one’s breath away and left one and every one probing for a lot of.

Pablo Picasso himself same, “Are we have a tendency to to color what is on the face, what is within the face or what is behind it?” His paintings redefined each face and eventually contributed vastly to the face of the painting fraternity. Here’s to all or any painter paintings that still enchant and fascinate US.

 

Visit Our Facebook Page

মহেশখালী-ইউনান প্রদেশঃ শিল্পী মং মং সো এর যাত্রা

শিল্পী মং মং সো। যার শৈশব থেকে কৈশোরের বড় হয়ে উঠা, দৃশ্য শিল্প জগতের সাথে যাত্রা শুরু করা, সব কিছুর সাথে নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে মাঝি মল্লা, নৌকা,ট্রলার এইসকল বিষয়বস্তুর। সমুদ্রের বুক আছাড়ের পর আছাড় খেয়ে খেয়ে জাহাজগুলো যখন তীরে ফিরে বিশ্রাম নিত, তখন সেসব ্ট্রলার, কাদা বালি এইসবি হয়ে উঠতো শিল্পীর শৈশবের খেলার উপাদান। শিল্পীর জলরং চর্চার সাথে ও নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে এইসকল বিষয়বস্তুর।

শিল্পী মং মং সো মহেশখালী ও বান্দরবানে তার পড়া লেখার পাঠ শেষ করে ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, চারুকলা বিভাগে। শিল্পীর জল রং এর প্রতি আগ্রহ, প্রেম আগে থেকেই ছিলো, এবং তা আরো প্রকট হতে থাকে চট্টগ্রামে আসার পর। চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান, প্রাকৃতিক নৈশর্গ্যের ছবি শিল্পীর জলরং এ মূর্তমান হতে থাকে একের পর এক। এরপর শিল্পী মং মং সো’ পাড়ি জমান সদূর চীনের ইউনান প্রদেশে। চীন সরকারের দ্বারা প্রাপ্ত স্কলারশিপে ভর্তি হন ইউনান আর্টস ইউনিভার্সিটিতে। পরবর্তীতে শিল্পীর জ্ঞানতাত্ত্বিক শিল্পচর্চা, জলরং এর নতুন নতুন টেকনিকের চর্চা সব কিছুর যাত্রা শুরু হয় এখান থেকেই। শিল্পীর ‘Songs of Fisherman’ সিরিজের চিত্রকর্মগুলো নির্মিত হয়েছে শিল্পীর ইউনান ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স-এ শিক্ষাকালীন সময়ে, এবং তা প্রদর্শিত হয় ২০১৯ সালে ইউনান আর্টস ইউনিভার্সিটির গ্যালারীতে।

পরবর্তীতে এই সিরিজের কাজ গুলো দেখতে পাওয়া যায় আন্তর্জাতিক কোন প্রতিযোগীতায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্যালারি কিংবা কোন গ্রুপ এক্সিবিশনে। তারই ধারাবাহিকতায়, কিছুদিন আগে EMK Center এ অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো, শিল্পীর এই সিরিজের আরো একটি প্রদর্শনী।

শিল্পী মং মং সো জলরং এ স্বিদ্ধহস্ত। তার শিল্পচর্চার একটা দীর্ঘ সময় জুড়ে রয়েছে জলরং এ কাজ করার অভিজ্ঞতা, যা তাকে করে তুলেছে আরো নিপুণ।। চীনে থাকাকলীন সময়ে তিনি মাস্টার্স/এমফিল সম্পন্ন করেছেন জলরং এর উপর। বর্তমান সময়ে জলরং এ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য শিল্পী ছেন লিওয়ের অধীনে তিনি শিল্পশিক্ষা লাভ করেন। তার ব্যবহৃত জল রঙ এর টেকনিকের প্রভাব শিল্পী মং মং সো-র কাজে দৃশ্যমান। শিল্পী মং মং সো-এর জলরং এর প্রায়োগিক দিক খেয়াল করলে দেখা যায়, শিল্পী কাগজের প্রতিটা টেক্সারটাকে ধরে রেখে কাজ করেন। কাগজের প্রতিটা বুনট ধরা পড়ে তার কাজে। জলরং এ পরিমিত ওয়াশের পাশাপাশি রয়েছে, প্রতিটা বিষয়বস্তুকে পরিমিতভাবে ফুটিয়ে তুলার দক্ষতা। বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ে জলরং এর প্রতি যে আগ্রহ ও ভালোবাসা জন্ম নিয়েছলো, তাই পরবর্তীতে হয়েছে আরো বিস্তৃত এবং নিত্য-নতুন কলা কৌশল রপ্ত করার শিল্পীর সহজাত প্রবৃত্তি তাকে করেছে আরো প্রক্ষর ও তিক্ষ্ণ। শিল্পী জলরং এর প্রতিটা ওয়াশ, দাগ, রেখাকে যেন আলাদা আলাদাভাবে খুঁজে পাওয়া যায়, তাদের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যমন্ডিত রূপে।

শিল্পী মং মং সো এর বিষয়বস্তু নির্বাচন, বস্তুর দৃশ্যায়ন চিত্রগুলোকে দিয়েছে নিজস্ব স্বতন্ত্রতা। চীনে গিয়ে রপ্ত করা জলরং এর টেকনিকের সাথে রয়েছে এই দেশের, এই মাটির জেলেদের কঠিন জীবন যাপনের প্রতিচ্ছবি। শিল্পী ছেন লিও  মং মং সো এর এই সিরিজ প্রসঙ্গে বলেন, ‘মং মং সো এর করা ওয়াটারকালারগুলো দেখে প্রথমে আমি ভেবেছিলাম, চীনের কোন শিল্পীর করা কাজ। কিন্তু তার বিষয়বস্তুগুলো দেখার পর বুঝতে পারলাম এবং আগ্রহী হয়ে পড়লাম শিল্পীর কাজের এইসব বিষয়বস্তু নিয়ে। শিল্পী অলক রায় (সাবেক প্রফেসর, চারুকলা ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) বলেন, ‘মং মং সো এর জলরং করার টেকনিক চীনের শিল্পকলা দ্বারা প্রভাবিত হলেও, তার বিষয়বস্তু এই মাটির। শিল্পী পাবলো পকাসো যেমন সদূর প্যারিসে থেকেও ছিলেন একজন স্পেনিয়ার্ড’। Songs of fishermen সিরিজের কাজগুলোতে ট্রলারগুলোর কম্পোজিশন লক্ষ্যণীয়। প্রতিটা ছবিতে যেন ক্লান্ত পরিশ্রান্ত  ট্রলারগুলো ছবির প্রাণ। 

শিল্পী মং মং সো তার শিল্পভাষা নির্মাণের জন্য মাধ্যম হিসেবে বেঁছে নিয়েছেন জলরংকে। এই মাধ্যমের উপর তার দক্ষতা প্রশংশনীয়। তার সাথে শিল্পী মং মং সো এর বিষয়বস্তু নির্বাচন তাকে দিয়েছে এক শৈল্পিক স্বকীয়তা। শিল্পী মং মং সো বলেন, ‘শিল্প চর্চার শেষদিন পর্যন্ত তিনি জলরং চর্চা করে যেতে চান’। তাই এই কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, বাংলাদেশের জলরং চর্চায় শিল্পী মং মং সো যুক্ত করবে আরো দারুণ দারুণ সব চারু দক্ষতা এবং বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্যতা।

শান্তনু চৌধুরী

স্বাধীন লেখক,চট্টগ্রাম।

বহন করা ইতিহাস-নাজমুল হোসেন এর কবিতা

বেলকনির উদরস্থ কপোত তড়িৎ

প্রস্থানে উড়ে গেলেই,

গুলির শব্দ!

ঝাঁঝাল শরৎ সন্ধ্যা,

বিপরীতে ঝুলিয়ে রাখা মানুষের

বারবিকিউ,

ঠাওর কর নীহারিকা আমাদের

চোখগুলো কাটা চামচ হয়ে যাচ্ছে

বেমালুম ।

ঠাওর কর আমরা ঠিক বিপরীতে

বসে গিলে খাচ্ছি পরস্পরের দিগন্ত

রেখার প্রান্ত বিন্দু ।আর আমাদের

নাভিগোলকের ঠিক উপরেই ওরা

টেনে দিচ্ছে তারকাঁটা।

নিরেট আঁধারের বিপরীতে রুটির

মতো আধপোড়া বাবার মুখ অথবা

সংশয় আমদের বোধ গুলোকে করে

তুলছে ভাতের প্লেট।

আইলহীন চরে জেগে উঠছে প্রথম

বিপ্লব অথবা চর

দখলের রক্তে মাটি উর্বর থেকে হয়ে

উঠছে আরো উর্বরতর।

সহসা সাস্থবতী ষোড়শীর উদাম বক্ষের

মতো ফেপে উঠেছে আউসের ধান

ক্ষেত।

মই বিছিয়ে নীহারিকার বুকের

অলিন্দে উঠে আসা বসন্তে অথবা

মিছিলে এভাবেই নেমে আসে রাষ্ট্রীয়

সন্ত্রাস।

আজীবন বহন করা কোষেদের বিদ্রহ

অথবা আঁচিল।

লাঠি, সুরকি, বল্লাম, নানীর স্বপ্নের

সাদা ঘোড়া,২৭ তম জনমের স্মৃতির

প্রাসাদে আচমকা খসে পরা

একখানা লাল ইট।

নূপুরের শব্দ!

বয়সী বয়ানের শীতনিদ্রা,

শ্রেণিহীন মানুষের হঠাৎ ফুঁসে ওঠা

বারান্দা অথবা দোলনা

পাউরুটি বিনিয়ে শপথ করিয়ে

নেওয়া শ্রেণী শত্রুর ঘাতক অথবা

বিপ্লবী

আমার কপালে পরিয়ে দাও,হে

মহাকাল স্বজন

ঘাতকের রাজটিকা, আমার

ভেতরের কুটুম পাখিরা সংশয়বাদী

হয়ে উঠেছে।অথচ কি নিদারুণ

ব্যাথায় এই ঘাতক পাখিরা, সারা

দিন রোদনধারায় ভিজিয়ে রাখে

রোজকারের বারান্দা।

ইশতেহার-নাজমুল হোসেন নয়ন এর কবিতা

নবায়ন যোগ্য ইশতেহারে ক্ষুধা হলো

একমাত্র আলাপের উঠান।

হে নবজাতকেরা,

হে আমার,

কোষ থেকে বিভাজিত

অনুক্রোষ,এই মহাকাল তোমাদেরও

বসতে দিবে ক্ষুধার শীতল পাটিতে।৷

যেমন তোমার,

আমার,

পূর্বসুরীরা এখনো ভাতের প্লেট হয়ে

বসে আছে দক্ষিণের বারান্দায়।

কল পারে দাঁড়াতেই,

দেয়ালের ওপারের স্লোগান শুনে

হাত থেকে খসে পরে আধোয়া প্লেট।

পৃথিবী সমান ভূখণ্ড নিয়ে জেগে উঠি

আমি,

তোমরা,

আমাদের বোধ,

আমাদের নাভির উপর দিয়েই ওরা

টেনে দেয় কাঁটাতার।

টাকি শুটকির মত ঝুলে যায়

ফেলানী,

একটি শঙ্খ চিল

এক মুঠো বাতাস।

পাখিটির জানাই হয় না

কল্লোলিনী কলকাতার আকাশে

বাতাসে

ফ্যান দাও, ফ্যান দাও করে

জেগে উঠেছে এক মিলিত মানুষের

বিপ্লব।

অথচ এর আগের বছরই

স্বাস্হোজ্জ্বল যুবতী মেয়ের লাবণ্যের

মতো

গোলা ভরা ধানে ভরে উঠেছিলো

আমার প্রমাতামহীর ষোড়শ বয়স।

নিদারুণ বিষ্ময় নিয়ে আবার জেগে

উঠিছে

আমি

মহিষের নৈশব্দ চোখের মতো

সর্বহারাদের

স্লোগানে।

আমার,

সাতাশি জনমের সবটুকু ছায়া নিয়ে
দাঁড়িয়ে

গেছি তোদের উনুনের উপর,

ফুঁৎকারে সবটুকু আগুন গিলে

খাওয়ার

সাতাইশ,

জনমের সব টুকু বোধ নিয়ে আমি

এখন পুড়ে ছাই,

আমি পুড়ে মরেছি ঠিকই

তবে আমার জুতায় আমার নাম

লেখে ছুড়ে মেরেছি

তোদের সংসদ ভবনে সুউচ্চ চুড়ায়।

নব দৃষ্টি নিয়ে ক্রমস নীল থেকে

আরো নীল হওয়া আকাশের দিকে

অস্থির থেকে আরো অস্থির হয়ে

আমি ঠিক

পৌঁছে যাবো পৃথিবীতে থাকা আমার

একান্ত গ্রামে।

ষোড়শী গ্রাম

আমার,

আমাদের

সবার, শেষ অশ্রু টুকু ফেলতে তার

নাভিকমলে ফুটিয়ে

রেখেছে সাতাইশটি কলমি ফুল।

কোলাজ ২৭- নাজমুল হোসেন নয়ন এর কবিতা

বেজোড় সংখ্যায় ভীষণ রকম স্থিতি

নিয়ে স্বপ্নের তৃতীয় স্তরে জেগে উঠি

পৃথিবীর নির্জনতম গ্রামে।

গুটিবসন্তের মতো আমার একান্ত

গ্রামের শরীরে জেগে ওঠে ইব্রাহিমের

জোয়ার উঠান।

 

আমি ভিষণ তোরে সলতে উষ্কে

দিলে পুড়ে যায় পিতামহীর দক্ষিণ

হস্ত । আমার বুকের ঠিক

মাঝখানটায় লুকিয় যায় শীতল

বাষ্পের ইছামতী। মাছেরা মিছিল

নিয়ে এগিয়ে যায় বাতাবি লেবুর

বাগান ঘেঁষে, গ্রামের সবচেয়ে উচ্চ

জমিনে।যেখানে বৃষ্টি জলের স্থিতি

নেই বলে গজিয়ে উঠেনি এখনো

বুনোঘাস।

 

আমাদের ধরে ফেলে মন্ডল বাড়ির লাঠিয়ালেরা।

ওদের লাঠি থেকে আমাদের দূরত্ব

দুই হাত। তবে আমাদের রক্তের দূরত্ব

খুব জোড় দুই মিলিমিটার।

ঝুলিয়ে দেওয়া হোক আমাকে

মায়ের উদরস্থ ত্রি রংয়ের দড়িতে।

সাতাইশ হাত ঘরে সাড়ে পাঁচ হাতের

জায়নামাজ। তার উপর বসে আছেন

মাতা, উদরের দৈর্ঘ্য প্রস্থ নিয়ে নিয়ে।

আপাতত যে ধর্ম সংকটে আমরা,

স্থান খুঁজছি মায়ের উদরে পুনরায়।

আকাশে মেঘ সুখে দুখে যাতেই

ডাকুক না কেন।পাখিরা যেমন

গাছের পাজর সেলাই করে নেয়

নিজের আবরণ।তেমন করে আমরা

মিশে যাই

 

ছাতিমের পাতায়,

ফুলে,

ফুলের গন্ধে।

ছাতিম তলার আঘাত গুলো ঠিক

মনে নাই আমার।ছাতিমের গন্ধে

মাতাল হয়ে আমি ওজন শূন্য

হয়েছিলাম ক্ষণকাল।

কাঁটাতার কি আমার নিশ্বাসের ওজন

কেও তার ব্যাসার্ধের পেটে হজম

করে নেবে

হে মহাকাল???

জানেন দাদা –

স্বপ্নের বেজোড় তম প্রথম স্তরে কি

নিদারুণ অসারতার আঁধার নিয়ে

এখানে সন্ধ্যা নামে। সলতের

উষ্কানিতে এতো এতো আঁধারের

প্রলুবদ্ধ আহ্বান যে , মাছের পেটের

মতোই উজ্জ্বল ঠাহর হয় জননীর

মুখ।

সি আর বি তে চিত্রপ্রদর্শনী-শিল্পে প্রতিবাদ ও এর প্রভাব

চট্টগ্রাম শহরের সিআরবি-তে হাসপাতাল করার ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই, চট্টগ্রামবাসী সিআরবি-র শিরীষতলা প্রাঙ্গনে আন্দোলন করে আসছে হাসপাতাল না হওয়ার বিপক্ষে। সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল-উপদল, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, শিল্পী, সবাই এই দাবীতে একমত যে, কোন কিছুর বিনিময়ে সিআরবি-তে হাসপাতাল হতে দেয়া যাবে না। বাণিজ্যিক রাজধানী হওয়ার দরূণ, শিল্পায়নের যে প্রভাব পড়েছে এই বন্দর নগরীতে, তারই ফলশ্রুতিতে বিগত বেশ কিছু বছরে নগরকেন্দ্রিক প্রয়োজনীতার দরুণ দখল করে নেয়া হয়েছে বেশ কিছু খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত স্থান। কিন্তু, সিআরবি-র স্থানিক তাতপর্য বিবেচনায়, সিআরবি-তে হাসপাতাল ঘোষণা দেয়ার পর থেকে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের ফলশ্রুতিতে সিআরবি তে হাসপাতাল বিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। যখনই কোন আন্দোলন, সংগ্রাম, বিক্ষোভ, প্রতিবাদের জন্ম হয়, তখনি শিল্পীদের শৈল্পিক অবস্থান সেই ঘটনাগুলোকে আরো তরান্বিত করে তুলে। তাদের গান, কবিতা, রং-তুলির ছোঁয়া সাধারণ মানুষকে নতুনভাবে ভাবিয়ে তুলে বিষয়গুলো নিয়ে। সিআরবি-তে যে আন্দোলন, প্রতিবাদ হচ্ছে, মূলত এই আর্ট ক্যাম্পে অঙ্কিত শিল্পকর্মগুলো প্রদর্শীত হয় সিআরবি-র শিরীষতলায়, যার শিরোনাম ‘শিল্পীর ভাবনায় সি আর বি’। ২৩-২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রদর্শনীটি অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এটি উন্মুক্ত ছিলো সাধারণ মানুষজনের জন্য। এই প্রদর্শনীটিতে অংশগ্রহণ করেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের, চারুকলা ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। এবং প্রদর্শনীটির কিউরেশন করেন, চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভাস্কর্য্য বিভাগের সাবেক অধ্যক্ষ শিল্পী অলক রায়।

প্রদর্শনীটিতে শিল্পীরা ছবি ও পারফর্ম্যান্স আর্টের মাধ্যমে তাদের মনের ভাবনাগুলো প্রকাশ করেন। শিল্পীদের চিত্রকর্মগুলোর বিষয়বস্তুতে সিআরবি, পরিবেশ-প্রকৃতি, বৃক্ষ সহ বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয় উঠে আসে। শিল্পি মং মং সোর ‘সি আর বি-র নীরবতা’ শিরোনামের ছবিটিতে সি আর বি এর একটি বাস্তববাদী চিত্র ফুটে উঠে। যেখানে শিল্পীর তার নিবিড় তুলির আঁচড়ে সিআরবি-র চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। আর্ট ক্যম্পটি সম্পর্কে প্রদর্শনীর কিউরেটর শিল্পী অলক রায় বলেন, ‘চট্টগ্রামের প্রাতিষ্ঠানিক চারুকলা শিক্ষার যাত্রাকাল থেকেই সিআরবি প্রাঙ্গন ছাত্র-শিক্ষার্থীদের দৃশ্যশিল্প চর্চার একটি প্রিয় স্থান। তাই চট্টগ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত প্রাকৃতিক সবুজ বেষ্টনী অটুট রাখার দাবিতে সি আর বি’কে ঘিরে আমরা শিল্প সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের প্রাণের আকুতি প্রকাশ করতে চেয়েছি’। শিল্পী সঞ্জয় দাশের শিল্পকর্মে দেখা যায়, তিনি কিউবিস্ট ঘরানায় সি আর বির দৃশ্যপটকে কল্পনা করে এক ধরণের ছবি এঁকেছেন। তার চিত্রকর্মে শুয়ে থাকা মানুষের চিত্রটি মনে করিয়ে দেয়, এই সিআরবি-র শতবর্ষয় বৃক্ষগুলো এর ছায়া কত মানুষের বিশ্রামের আশ্রয়স্থল।

প্রদর্শনীতে দর্শনরত এক দর্শক বলেন, ‘সিআরবি চট্টগ্রামের একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান। এই দৃশ্যগুলো আমাদের আবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, সিআরবি-র স্থানিক তাতপর্য্য কতটা, এবং শিল্পীদের আঁকা এই ছবিগুলোতে তাদের যে আবেগ, অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে তা আমাদের হৃদয়কে ও তাড়িত করছে। এবং আমরা বুঝতে পারছি, মানুষ আর প্রকৃতি আলাদা কিছু নয়’। শিল্পী নিলুফার চামান প্রদর্শনী প্রসঙ্গে বলেন, ‘মানুষ এখানে আসছে, ছবি গুলো দেখছে। ছবিগুলো দেখার পর তাদের নিজেদের মধ্য একধরণের উপলব্ধি হচ্ছে। এই কাজ-ই শিল্পীরা করে থাকে, তারা দর্শকের অনুভূতিতে নাড়া দেয়। শিল্পীরা সমাজের বাইরের কেউ নয়। তারা সমাজের-ই অংশ। সমাজের বিভিন্ন অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা শিল্পীদের বিবেককেও নাড়া দেয়। এবং এই উপলব্ধিটা দর্শকের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়াটাই শিল্পীদের কাজ’।

শিল্পীদের বলা হয়ে থাকে জাতির বিবেক। যখনই কোন জাতি তার ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তখনি, শিল্পীরা সেই সব যৌক্তিক দাবীগুলোতে, তাদের শৈল্পিক সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে সেই সব দাবীগুলোকে করেছে আরো জোরালো এবং তাদের অবস্থানকে করেছে পরিষ্কার। আমাদের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৮৯ এর গণ-অভ্যুথান, সব আন্দোলন-সংগ্রামে শিল্পীদের সরব উপস্থিতি আমাদের মনে করিয়ে দেয় এই সমাজে শিল্পীদের প্রয়োজনীয়তা। তেমনি, ৮০ লক্ষ মানুষের এই চট্টগ্রাম শহর যখন তার কোন ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে নেমেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের, চারুকলা ইনস্টিটিউটের বর্তমান, সাবেক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরাও সেগুলোতে নিজেদের সামিল করেছে। শিল্প মানুষকে কেবল সৌন্দর্য্য প্রদানই করে না। শিল্প সৌন্দর্য্য প্রদানের পাশাপাশি হতে পারে প্রতিবাদের ভাষাও।