বেলকনির উদরস্থ কপোত তড়িৎ
প্রস্থানে উড়ে গেলেই,
গুলির শব্দ!
ঝাঁঝাল শরৎ সন্ধ্যা,
বিপরীতে ঝুলিয়ে রাখা মানুষের
বারবিকিউ,
ঠাওর কর নীহারিকা আমাদের
চোখগুলো কাটা চামচ হয়ে যাচ্ছে
বেমালুম ।
ঠাওর কর আমরা ঠিক বিপরীতে
বসে গিলে খাচ্ছি পরস্পরের দিগন্ত
রেখার প্রান্ত বিন্দু ।আর আমাদের
নাভিগোলকের ঠিক উপরেই ওরা
টেনে দিচ্ছে তারকাঁটা।
নিরেট আঁধারের বিপরীতে রুটির
মতো আধপোড়া বাবার মুখ অথবা
সংশয় আমদের বোধ গুলোকে করে
তুলছে ভাতের প্লেট।
আইলহীন চরে জেগে উঠছে প্রথম
বিপ্লব অথবা চর
দখলের রক্তে মাটি উর্বর থেকে হয়ে
উঠছে আরো উর্বরতর।
সহসা সাস্থবতী ষোড়শীর উদাম বক্ষের
মতো ফেপে উঠেছে আউসের ধান
ক্ষেত।
মই বিছিয়ে নীহারিকার বুকের
অলিন্দে উঠে আসা বসন্তে অথবা
মিছিলে এভাবেই নেমে আসে রাষ্ট্রীয়
সন্ত্রাস।
আজীবন বহন করা কোষেদের বিদ্রহ
অথবা আঁচিল।
লাঠি, সুরকি, বল্লাম, নানীর স্বপ্নের
সাদা ঘোড়া,২৭ তম জনমের স্মৃতির
প্রাসাদে আচমকা খসে পরা
একখানা লাল ইট।
নূপুরের শব্দ!
বয়সী বয়ানের শীতনিদ্রা,
শ্রেণিহীন মানুষের হঠাৎ ফুঁসে ওঠা
বারান্দা অথবা দোলনা
পাউরুটি বিনিয়ে শপথ করিয়ে
নেওয়া শ্রেণী শত্রুর ঘাতক অথবা
বিপ্লবী
আমার কপালে পরিয়ে দাও,হে
মহাকাল স্বজন
ঘাতকের রাজটিকা, আমার
ভেতরের কুটুম পাখিরা সংশয়বাদী
হয়ে উঠেছে।অথচ কি নিদারুণ
ব্যাথায় এই ঘাতক পাখিরা, সারা
দিন রোদনধারায় ভিজিয়ে রাখে
রোজকারের বারান্দা।