জর্জ ব্র্যাক এবং পাবলো পিকাসোর কিউবিজমের বিকাশ পর্ব ( Development of Cubism by Georges Braque and Pablo Picasso )


আর্ট কিউরেটর উইলিয়াম এস রুবিন শিল্পের ইতিহাসে কিউবিজমের মূল প্রভাব নিয়ে আলোচনা করছেন, বিশেষ আলোচনার বিষয় হলো জর্জ ব্র্যাক এবং পাবলো পিকাসোর কিউবিজমের বিকাশ পর্ব।

 পল সেজানের আফ্রিকান শিল্প ও চিত্রকর্ম কিউবিজমকে প্রভাবিত করেছে, পাবলো পিকাসো এবং জর্জ ব্র্যাক এর প্রকাশিত ডকুমেন্টারি পিকাসো অ্যান্ড ব্র্যাক: পাইওনিয়ারিং কিউবিজম (২০০৭) এ বিষয়টি আরো ভাল ভাবে প্রকাশ পেয়েছে।

কিউবিজম, ২০ শতকের অত্যন্ত প্রভাবশালী ভিজ্যুয়াল আর্ট শৈলী যা মূলত ১৯০৭ থেকে ১৯১৪ সালের মধ্যে প্যারিসে শিল্পী পাবলো পিকাসো এবং জর্জ ব্র্যাক দ্বারা উদ্ভাবিত হয়েছিল। কিউবিস্ট শৈলী প্রথাগত কৌশলগুলিকে প্রত্যাখ্যান করে ছবির বস্তুগত তল, দ্বি-মাত্রিক পৃষ্ঠের উপর জোর দেয়, দৃষ্টিকোণ, সাবজেক্টের সংক্ষিপ্তকরণ, মডেলিং, এবং chiaroscuro এবং প্রকৃতির অনুকরণ করেছে। কিউবিস্ট চিত্রশিল্পীরা ফর্ম, টেক্সচার, রঙ এবং স্থান অনুলিপি করতে বাধ্য ছিলেন না। পরিবর্তে, তারা পেইন্টিংগুলিতে একটি নতুন বাস্তবতা উপস্থাপন করেছিল।

1908

Houses of l’Estaque-1908

সমালোচক লুই ভক্সসেলেসের মন্তব্য থেকে প্রথম কিউবিজম এর নামটি এসেছে, যিনি ব্র্যাকের ১৯০৮ সালে L’Estaque-এ অবস্থিত  বাড়িগুলিকে বিদ্রুপাত্মকভাবে বর্ণনা করেছেন। ব্র্যাকের পেইন্টিংয়ে, বাড়ির আয়তন, গাছের নলাকার রূপ এবং কষা-সবুজ রঙের স্কিম পল সেজানের ল্যান্ডস্কেপের কথা মনে করিয়ে দেয়, যা কিউবিস্টদের গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। তবে, ১৯০৭ সালে পিকাসোর আঁকা Les Demoiselles d’Avignon ছিল নতুন শৈলীর কাজ, এটিতে পাঁচটি নারীর নগ্ন রূপ ভেঙ্গে, কৌণিক আকারে বা জ্যামিতিক তলের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।

Les Demoiselles d’Avignon-1907

১৯১০ থেকে ১৯১২ পর্যন্ত আন্দোলনের বিকাশকে প্রায়শই বিশ্লেষণাত্মক কিউবিজম হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এই সময়কালে, পিকাসো এবং ব্র্যাকের কাজ এতটাই একই রকম হয়ে গিয়েছিল যে তাদের চিত্রগুলি প্রায় আলাদা করা যায় না। উভয় শিল্পীর বিশ্লেষণাত্মক কিউবিস্ট চিত্রগুলি ফর্মের ভাঙন বা বিশ্লেষণ দেখায়। পিকাসো এবং ব্র্যাক দুজনেই কোণ এবং সরল-রেখা নির্মাণের পক্ষে ছিলেন, যদিও মাঝে মাঝে তাদের চিত্রকর্মের কিছু অংশ ভাস্কর্যের মতো দেখা যায়, যেমন পিকাসোর গার্ল উইথ এ ম্যান্ডোলিন (১৯১০)।

Girl with a Mandolin
Pablo Picasso (1818-1973)
Date: 1910

তারা তাদের রঙের স্কিমগুলিকে প্রায় একই স্কেলে সাজিয়েছেন (ট্যান, বাদামী, ধূসর, ক্রিম, সবুজ বা নীলের রঙের প্রাধান্য দেখা যায়) যাতে দর্শকদের শিল্পীর  বিষয়বস্তুর প্রতি প্রাথমিক আগ্রহ বুঝতে অসুবিধা না হয়। একই  রকম  নির্দিষ্ট রঙের স্কেল থাকার কারনে  বস্তুর জটিল ও  একাধিক দৃশ্যের উপস্থাপনের জন্য উপযুক্ত ছিল, যা বস্তুর  অস্বচ্ছ এবং স্বচ্ছ তলকে ওভারল্যাপ করতে পারত । চিত্রে এই তলগুলি গভীরতায় সরে যাওয়ার পরিবর্তে ক্যানভাসের পৃষ্ঠের বাইরে চলে যায় বলে মনে হয়। একটি বিশ্লেষণাত্মক কিউবিস্ট পেইন্টিংয়ের কেন্দ্রে ফর্মগুলি সাধারণত কম্প্যাক্ট এবং ঘন হয়, ক্যানভাসের প্রান্তের দিকে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে এটি বড় হয়, যেমন পিকাসোর অ্যামব্রোইস ভলার্ডের প্রতিকৃতিতে (১৯০৯-১০)।  পিকাসো এবং ব্র্যাক এই সময়ে তাদের কাজে প্রায় একই রকম মোটিফগুলিকে ব্যবহার করেছিলেন; তাদের প্রিয় মোটিফ ছিল বাদ্যযন্ত্র, বোতল, কলস, চশমা, সংবাদপত্র এবং মানুষের মুখ এবং চিত্র।

বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী মৃণাল হকের শিল্পীজীবনী

মৃণাল হক হলেন একজন বাংলাদেশী ভাস্কর। তিনি ঢাকার ‘রাজসিক বিহার’ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল্ডেন জুবিলী টাওয়ার ভাস্কর্যের জন্য সর্বাধিক পরিচিত।

মৃণাল হক তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজশাহীতে
৯ সেপ্টেম্বর ১৯৫৮ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ ও রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ শেষে ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটে ভর্তি হন। ১৯৮৪ সালে তিনি মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

১৯৯৫ সালে মৃণাল আমেরিকাতে পাড়ি জমান এবং সেখানে তার প্রথম কাজ শুরু করেন। নিউইয়ার্ক সিটিতে অবস্থিত বাংলাদেশের দুতাবাসে তার প্রথম প্রদর্শনি প্রদর্শিত হয়। তিনি নিউইয়ার্কে এত বেশি কাজ করেন যে, নিউইয়ার্কের সরকারি টিভি চ্যানেলে তার একটি সাক্ষাৎকার ২৬ বার এবং সিএনএন চ্যানেলে ১৮ বার প্রচারিত হয়।

২০০২ সালে মৃণাল দেশে ফিরে আসেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। একই বছর তিনি নিজ উদ্যোগে নির্মাণ করেন মতিঝিলের বক ভাষ্কর্যটি । ২০০৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নির্মিত গোল্ডেন জুবিলী টাওয়ার তারই শিল্পকর্ম।

উল্লেখযোগ্য কর্ম
• দুর্জয় -রাজারবাগ পুলিশ লাইন
• রাজসিক বিহার – রূপসী বাংলা হোটেলের সামনে
• কোতোয়াল – ইস্কাটনে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে
• রত্নদ্বীপ – প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে
• অতলান্তিক – নৌবাহিনী সদরদপ্তরের সামনে
• বক – মতিঝিলে
• গোল্ডেন জুবিলী টাওয়ার – রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে
• ইস্পাতের কান্না – ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়ক মোড়ে
• জননী ও গর্বিত বর্ণমালা – পরিবাগে ভাষা আন্দোলন নিয়ে নির্মিত।
• প্রত্যাশা- ফুলবাড়িয়ায়

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সামনে গ্রিক দেবী থেমিসের অনুকরণে ভাস্কর্য স্থাপন করে সমালোচনার মুখে পড়েন।

তিনি ২২ আগস্ট ২০২০ শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক দুইটায় নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন।

প্রখ্যাত বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী কামরুল হাসানের শিল্পীজীবনী

কামরুল হাসান প্রখ্যাত বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী। প্রকৃত নাম আবু শরাফ মোহাম্মদ কামরুল হাসান। তিনি ড্রইং-এ দক্ষতা অর্জন করে বিশ্বব্যাপী সুনাম কুড়িয়েছিলেন। কামরুল হাসানকে সবাই শিল্পী বললেও তিনি নিজে ‘পটুয়া’ নামে পরিচিত হতে পছন্দ করতেন। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে জেনারেল ইয়াহিয়ার মুখের ছবি দিয়ে আঁকা এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে পোস্টারটি খুব বিখ্যাত।

কামরুল হাসান কলকাতায় তিনজিলা গোরস্তান রোডে (২ ডিসেম্বর ১৯২১ ) জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পৈতৃক নিবাস নারেঙ্গ গ্রাম, বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ। তার বাবা মুহাম্মদ হাসিম ছিলেন একটি স্থানীয় কবরস্থানের তত্ত্বাবধায়ক।

কামরুল হাসান কলকাতা মডেল এমই স্কুলে, কলকাতা মাদরাসার অ্যাংলো-পার্সিয়ান বিভাগে এবং পরবর্তীকালে কলকাতা ইন্সটিটিউট অফ আর্টসে অধ্যয়ন করেছিলেন। তিনি ১৯৪৭ সালে ফাইন আর্টসে পাস করেন। হাসান ভৌত অনুশীলনে খুব কৌতূহলী ছিলেন এবং একটি ভৌত অনুশীলন প্রতিযোগিতায় ১৯৪৫ সালে বেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হন। পাকিস্তান আন্দোলনের সময় সমসমায়িক অনেক মুসলিম যুবকের মতোই তিনি এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরে তিনি কলকাতা ছেড়ে ঢাকায় আগমন করেন।

Uki, gouache, Kamrul Hasan

ভারত বিভাগের পরে, কামরুল হাসান ঢাকাতে আসেন, যা ছিল সদ্যস্থাপিত পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী। ১৯৪৮ সালে জয়নুল আবেদীনের সঙ্গে একত্রে তিনি গভর্নমেন্ট ইন্সটিটিউট অফ ফাইন আর্টস (বর্তমানে, ফ‍্যাকাল্টি অফ ফাইন আর্টস) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। রাজনৈতিকভাবে প্রগতিপন্থী হাসান অনেক রাজনৈতিক আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন যা স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি ১৯৬৯ সালে আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নেন।

কামরুল হাসানের এসব চিত্রকর্মের মধ্য দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক সচেতনতা, অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে নির্ভীক প্রতিবাদী মানসিকতা, গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং সমাজসচেতনতাই প্রকাশিত হয়েছে।
কামরুল হাসানের চিত্রকলার প্রধান উপাদান নর-নারী (বিশেষত রমণীর শরীর), পশুপাখি (প্রধানত গরু ও শৃগাল), সাপ ও প্রকৃতি। এসবের মধ্য দিয়ে তিনি আবহমান বাংলার গ্রামীণ সমাজের সামগ্রিক রূপ, বাংলার নিসর্গ, স্বৈরশাসকদের অত্যাচার, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার চিত্র চমৎকারভাবে তুলে ধরেন। তাঁর অঙ্কিত চিত্রকলা ষাটের দশকে বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের আন্দোলনে, সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে জনসাধারণকে দারুণভাবে উজ্জীবিত করেছে।

কামরুল হাসানের চিত্রকলায় লৌকিক ও আধুনিক রীতির মিশ্রণ ঘটায় তিনি ‘পটুয়া কামরুল হাসান’ নামে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত নকশা ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারি মনোগ্রাম তৈরি করার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও রেডিও- এর কলা বিভাগের পরিচালক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছে। কামরুল হাসান ১৯৭২ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে শিবনারায়ণ দাশ কর্তৃক ডিজাইনকৃত জাতীয় পতাকার বর্তমান রূপ দেন।

জীবিকাসূত্রে তিনি ১৯৪৮ থেকে ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকা চারুকলা ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা করেন এবং ১৯৬০ থেকে ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন নকশা কেন্দ্রের পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও প্রচার বিভাগের শিল্প বিভাগের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

দেশে-বিদেশে তিনি বহু একক এবং যৌথ চিত্র প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। একক প্রদর্শনীগুলো হলো : ১৯৫৪ এবং ১৯৫৫ ঢাকা; ১৯৫৭ রেঙ্গুন, মিয়ানমার; ১৯৬৯ পাকিস্তান; ১৯৭৫ ঢাকা; ১৯৭৯ লন্ডন; ১৯৯১ ঢাকা। উল্লেখযোগ্য যৌথ প্রদর্শনীগুলো হলো : ১৯৫৪ থেকে ১৯৬৯ ঢাকা, করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডি; ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৮ বাংলাদেশে ৬টি জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী; ১৯৭৮ জিডিআর; ১৯৮০ ফুকুওকা, জাপান; ১৯৮১ হংকং; ১৯৮৫ মালয়েশিয়া; ১৯৮৭ ভারত; ১৯৮১, ১৯৮৩ ও ১৯৮৬ দ্বি-বার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী, বাংলাদেশ।

শিল্পচর্চায় অসাধারণ অবদানের জন্য ১৯৭৯ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার” হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে।এছাড়াও তিনি প্রেসিডেন্ট’স গোল্ড মেডাল (১৯৬৫), বাংলাদেশ চারু শিল্পী সংসদ সম্মাননা (১৯৮৪) ও বাংলা একাডেমির ফেলো (১৯৮৫) সম্মাননা পেয়েছেন। ১৯৬৫সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক প্রাইড অফ পারফরম্যান্স পুরস্কার প্রদান করেন চিত্রাঙ্কন এ উলেখ্যযোগ্য অবদান এর জন্য।

কামরুল হাসান জাতীয় কবিতা উৎসবে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থাকাকালীন সময়ে ‘দেশ আজ বিশ্ব বেহায়ার খপ্পরে’ স্কেচটির অঙ্কন কার্য সমাপ্ত করার কয়েক মিনিট পরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ তারিখে মারা যান। তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন গোরস্থানে সমাহিত করা হয় ।

উৎস ঃ উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা।

Acrylic painting on canvas.Available for shipping also.

flower
Acrylic flower on canvas. CANVAS SIZE IS 16 BY 12. PAINTING I S ALSO AVAILABLE  FOR SHIPPING.THE PAINTINHB IS PEREFECT FOR ONES BEDROOM ,DRAWING ROOM,OFFICE , RESTAURANTS. THE PAINTING HAS EVERY MATERIAL; THAT CAN SOOTHE YOUR MIND. SO HURRY UP AND GRAB THE OPPORTUNITY. PAINTING IS APART OF BEAUTY AND FLOWER IS A SYMBOL OF BEAUTY AND INNOCENCE. IT ALSO MEANS PURITY. acrylic painting, painting executed in the medium of synthetic acrylic resins. Acrylics dry rapidly, serve as a vehicle for any kind of pigment, and are capable of giving both the transparent brilliance of watercolour and the density of oil paint.

Water-based acrylic paints are used as latex house paints, as latex is the technical term for a suspension of polymer microparticles in water. Interior latex house paints tend to be a combination of binder (sometimes acrylic,, and others)  Exterior latex house paints may also be a co polymer blend, but the best exterior water-based paints are 100% acrylic, because of its elasticity and other factors. Vinyl, however, costs half of what 100% acrylic resins cost, is even cheaper, so paint companies make many different combinations of them to match the market.[3]

 

OIL PAINTING

OIL PAINTING ON CANVAS.20% DISCOUNT.FLOWER PAINTING.

OIL PAINTING WELL VARNISHED PAINTING.PAINTING IS THE CALMNESS OF OUR HEARTS,IT IS A SOOTHING MATTER IF WE KEEP OUR PAINTINGS IN OUR HOME IN BEDROOM LIVING ROOM CORRIDOR OFFICE RESTAURANTS ETC.FLOWER IS A SYMBOL OG PURITY INNOCENCE BEAUTY .ITS BEAUTY CAN AFFECT OUR MENTAL HEALTHB AS ANY GOOOD MEDICINE CAN DO. SO WHY LATE TO PURCHASE THIS WONDERFUL MAN MADE CREATION? HURRY UP AND GRAB THE OFFER SOON. IT IS TOTALLY ASTONISHING. IT IS SO REFRESHING IF YOU KEEP THIS NEARBY . PAINTING CAN RELAXED OUR MIND THROUGH ITS TRANQUILITY. OUR LIFE SHOULD NOT BE FADED . IN ORDER TO MAKE LIFE COLORFUL WE CAN SEE COLORFUL THUNGS ALL THE TIME.THIS IS WHAT A BEAUTIFUL LIFE IS .WONDER?

অজন্তা গুহার চিত্রমালা-Paintings Of Ajanta Cave

গুপ্ত-যুগের শিল্প নিদর্শনাদির মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে বিখ্যাত ও আলোড়ন সৃষ্টিকারী হচ্ছে অজন্তার চিত্রমালা। এটি ধ্রুপদী চিত্রকলার সর্বশ্রেষ্ঠ নিদর্শন।

দাক্ষিণাত্যের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়-কাটা ধর্ম মন্দিরে- এই সমস্ত চিত্রের নমুনা আবিষ্কৃত হয়েছে। এরমধ্যে অনেকগুলি আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে কালের করাল গ্রাসে। অজন্তার এই গুহাগুলির সংখ্যা প্রায় তিরিশ। পূর্ব-পশ্চিমে এর দৈর্ঘ্য ছয় মিটার। প্রায় উল্লম্ব পাহাড়ের মধ্যে এগুলি অবস্থিত। মাঝখানে আছে দু’টি চৈত্য (৯ ও ১০ নং) এবং তাদের সহযোগী বিহার (৮, ১২ ও ১৩ নং) । এই গুহাগুলি, অজন্তার গুহা বলে পণ্ডিতগণ মনে করেন। এগুলির বয়স খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতক থেকে। পুরাতন ছবিগুলো টিকে আছে ১নং গুহার নাম ও শেষের দেয়ালে এবং ১০নং গুহার বাম ও ডানের দেয়ালে। ১০নং গুহার ডান দিকের দেখালে আঁকা হয়েছে “শ্যামা” শাদ্দান্ত জাতকের কাহিনী। এটি বুদ্ধের পূর্ব জন্মের ইতিকথা যা খুবই জনপ্রিয় ছিল। এই কাহিনীগুলি ধারাবাহিকভাবে আঁকা হয়েছে সাঁচীর স্তূপের রেলিঙে কিংবা অমরাবতীর মহান স্তূপের গায়ে। এই চিত্রাবলীর ধারাবাহিকতা অবশ্য মাঝে মাঝে ক্ষুণ্ন হয়েছে কখনো কোনো গাছ, দালান বা পাথরের চাঁই-এর অবস্থানের কারণে। ছবির অনেক কিছু ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও যা অবশিষ্ট আছে তা থেকে বুঝতে মোটেই কষ্ট হয় না যে এগুলো ১৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী যুগের অমরাবতীর ভাস্কর্যের আদলে নির্মিত। রঙের ব্যবহার সীমিত। যেমন লাল, ‘অকার’ হলুদ (Yellow ochre), মেটে সবুজ (টেরাভার্ট), ভূষা কালো এবং চুনের সাদা।

অজন্তা চিত্রে রেখার ব্যবহার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ছন্দময় ও গতিময় রেখার ব্যবহার বিশেষভাবে লক্ষ্য করার মতো। এগুলির সাথে তৃতীয় শতকের অন্ধ্রপ্রদেশের নাগার্জুনকোন্ডার পাথরের ভাস্কর্যের প্রাথমিক স্কেচের রেখার অনেক সাদৃশ্য আছে এছাড়া অজস্তা চিত্রে আমরা ভাবপ্রকাশের সফলতা করি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় “অজ্ঞান হয়ে যাওয়া রাণী”র চিত্রটি। এই সময়কার চিত্রে কিন্তু এই রীতির সূচ হয়। এর পূর্বে নিশ্চয়ই দীর্ঘ দিনের অনুশীলন ছিল। তা না হলে এত উন্নত চিত্র কৌশল আয়ত্ব করা সম্ভবপর হতো না ।

ajanta cave paintings
ajanta cave paintings

১০ নং গুহার একটি খণ্ডিত অংশে যে চিত্র রয়েছে সেটি এরকম। একজন সুদর্শন রাজা তাঁর অনুচরবর্গকে নিয়ে একটি মালা পরিহিত বৃক্ষের দিকে আগুয়ান। সেখানে অপেক্ষা করছে একদল সঙ্গীতজ্ঞ ও নর্তকী। রাজা সদলবলে সেদিকে যাচ্ছেন। এ প্যানেলটি বাম থেকে ডানে বিস্তৃত। এ চিত্রের বাস্ততায় যে-কোনো দর্শকই অভিভূত হবেন। প্রতিটি ব্যক্তির চেহারায় স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব বর্তমান। বিশেষ করে গোফওয়ালা রাজার চেহারা। তিনি যে শুধু একজন সুপুরুষ ব্যক্তি তাই নন, তাঁর চুলের ভূষণ মণিমুক্তা দ্বারা সজ্জিত। ছবির ডান দিকের অংশে লম্বা শিঙা হাতে দু’জন সঙ্গীতজ্ঞ, আর নিচের সারিতে দু’জন নর্তকীকে প্রাণবন্ত ভঙ্গীমায় দেখা যাচ্ছে। তাদের চোখে মুখে এক অদ্ভুত অভিব্যক্তি।

পরবর্তী ছবিগুলো সমগ্র দেয়াল জুড়ে বিস্তৃত ছিল। সবসময়ই এগুলো কাহিনী বলে যাওয়ার চরিত্র থেকে বিচ্যুত হয় নি। বরং প্রচুর জনমানুষের ভিড়ে তা যেন আরো রঞ্জিত আরো স্পন্দিত হয়েছে। অবশ্য এই গতি আর স্পন্দন কখনো কখনো বাধাগ্রস্ত হয়েছে স্থাপত্যের কারণে। কখনো বা অদ্ভুত কিউবিস্ট ধরনের গড়ন এই বাধার সৃষ্টি করেছে।

১নং গুহাটি পঞ্চম শতাব্দীর শেষার্ধে নির্মিত একটি বিহার। গুপ্ত-যুগে সম্পূর্ণ পাহাড় কেটে যে স্থাপত্য নির্মিত হতো এটি তার একটি নিদর্শন। এই গুহাটি বৌদ্ধ শিল্পকলার যাদুঘর বললে অত্যুক্তি হয় না। খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর বৌদ্ধ বিহারগুলো যে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের আবাসগৃহ এবং উপাসনার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এখানে একটি বুদ্ধ মূর্তিও আছে। ১নং গুহার চিত্রসমূহের গুণগত মান অত্যন্ত উন্নত। এখন পর্যন্ত এই সমস্ত ছবির উজ্জ্বলতা আমাদের মুগ্ধ করে। এ ছাড়া এই সমস্ত ছবি থেকে আমরা পঞ্চম শতাব্দীর শেষপাদের জটিল বৌদ্ধ সমাজের এক স্বরূপ আবিষ্কার করতে পারি।

এ ছাড়াও বর্তমানে টিকে থাকা অজন্তা চিত্রের মধ্যে আছে বুদ্ধের জীবন ও জাতকের কাহিনী। সমস্ত চিত্র জুড়ে আছে জীবন, আছে ছন্দ গতি আর ক্যালিগ্রাফিক রেখা। অজন্তা চিত্রে মানুষের হাতের মুদ্রা বা অভিব্যক্তি দেখার মতো ।

Ajanta Mural paintings
4333

এ ছাড়াও বর্তমানে টিকে থাকা অজন্তা চিত্রের মধ্যে আছে বুদ্ধের জীবন ও জাতকের কাহিনী। সমস্ত চিত্র জুড়ে আছে জীবন, আছে ছন্দ গতি আর ক্যালিগ্রাফিক রেখা। অজন্তা চিত্রে মানুষের হাতের মুদ্রা বা অভিব্যক্তি দেখার মতো ।

বোধিসত্ত্ব পদ্মপাণির কথাই ধরা যাক। এটি অজন্তার একটি বিখ্যাত চিত্রকর্ম। এখানে ফিগারটি ত্রিভঙ্গমূর্তিতে দণ্ডায়মান। হাতে তাঁর নীলপদ্ম, যা অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আঁকা। গায়ে মণিমাণিক্যখচিত অলঙ্কার। গায়ে রয়েছে উচ্চবর্ণের পরিচারক পৈত্য। এখানে বুদ্ধকে এক শান্ত-সৌম্য আধ্যাত্মিক মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে যিনি মায়াময় ধরণীর উর্ধ্বে। ছবিতে কোনো ছায়া নেই। সম্ভবত গুহার অন্ধকারকে দূর করার জন্য এটি করা হতে পারে। আবার অপার্থিব পরিবেশ আনার জন্যও তা হতে পারে। বিশেষ টেকনিক ব্যবহারের ফলেই এতে এক ধরনের দ্যুতি বিদ্যমান ।

অজন্তার ১নং গুহার আর একটি সুন্দর বোধিসত্ত্ব ফিগার আছে। এখানে তিনি রানী ও মহিলা পরিবেষ্টিত অবস্থায় উপস্থাপিত। এখানে মহাজানক জাতকের কাহিনী নতুনভাবে অবতারণা করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজপ্রাসাদের চিত্রটি যে ভাবে আঁকা হয়েছে তাতে আশ্চর্য না হয়ে পারা যায় না।

আর একটি সুন্দর ছবি হলো পদ্মপুকুরে শ্বেতহস্তী। অজন্তার ছাদের প্যানেলে যে সমস্ত ছবি আঁকা হয়েছে এটি তার মধ্যে একটি। এ ছাড়া শত প্রাণী যেমন ষাঁড়, ঘোড়া, পাখি, বানর ইত্যাদিও আঁকা হয়েছে সুন্দরভাবে। এ-সমস্ত ছবির বুনুনি আমাদের অবাক করে দেয়।

১৭নং গুহার ছবি হচ্ছে পঞ্চম শতকের মাঝামাঝি সময়ের। এই ছবিতে যে-সমস্ত মটিফ ব্যবহৃত হয়েছে তা ঊনবিংশ শতক পর্যন্ত রাজপুত অনুচিত্রে দেখতে পাই। এ ছবিতে আমরা দেখি স্থাপত্যের সেটিং-এর মধ্যে প্রেমিক যুগলকে আঁকা হয়েছে। এটিতে “সিংহল অবদান”-এর কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। কাহিনীটি এরকম :

এক ধনী বণিকের জাহাজ একটি দ্বীপের কাছে ডুবে যায়। সেই দ্বীপে বাস করত একদল মানবী। দিনের বেলা এরা সুন্দরী নারীর বেশে থাকত। কিন্তু রাতের বেলায় তারা হয়ে উঠতো নরমাংসভোজী জীব। ছবির একটি অংশে এই নায়ককে এরকম এক নারীবেশী দানবীর পাশে দেখা যাচ্ছে।

এ ছাড়া এ জাতীয় অপর একটি কাহিনীর বর্ণনা আমরা অজন্তার এই চিত্রে দেখতে পাই। এটিও বিশ্বস্তর জাতকে বর্ণিত। এ ছবিতে যে যৌন আবেদন প্রস্ফুটিত হয়েছে তা পরবর্তীকালের ভারতীয় অনুচিত্রে আমরা দেখতে পাই। এছাড়া পঞ্চম শতাব্দীতে অঙ্কিত এ-সমস্ত চিত্রে তৎকালীন ভারতীয় স্থাপত্যের নিদর্শনও আমাদের চোখে পড়ে। এইসব স্থাপত্যের স্তম্ভের উপরিভাগ ছিল চ্যাপ্টা কুশানীকৃতির। এগুলো মণিমাণিক্যখচিত

ajanta-caves-painting

ছিল। ১৯ নং গুহার প্রবেশ পথে অবশ্য এরকম স্তম্ভ আছে। তার বাম পাশে দু’টি নর ও নারী মূর্তি খোদিত আছে। এ দু’টি হচ্ছে নাগরাজ ও নাগরানী। অনেকটা যক্ষ ও যক্ষীর অনুরূপ। অতি প্রাচীন কাল থেকেই এ উপমহাদেশে যক্ষীমূর্তি প্রজননের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ষষ্ঠ শতাব্দীতে এসেও আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এক নাগরাজা ও নাগরাণী বৌদ্ধধর্মের পবিত্র স্থানটিকে পাহারা দিচ্ছে। দু’জনেই সহজ বসার ভঙ্গীতে উপবিষ্ট। ডান পা-টি উপরে উঠিয়ে শরীরের সাথে সন্নিবেষ্টিত। বাম পা মাটিতে ঝুলে আছে। মাথার পিছনে রয়েছে বহু মাথা বিশিষ্ট এক সাপ যা অনেকটা প্রভামণ্ডলের আকার সৃষ্টি করেছে।

0Ajanta_Cave19_Main

১৯নং গুহার সম্মুখভাগটি গুপ্ত রীতিতে নির্মিত চৈত্য বা বিহারের অনুরূপ। এর সম্মুখভাগে প্রচুর পরিমাণে বুদ্ধমূর্তি খোদাই করা হয়েছে। এ থেকে এই ধারণাই হয় হে এই সময় বৌদ্ধ মহাযানতন্ত্র ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করেছিল। সুঙ্গ যুগে অবশ্য এরকমটি ছিল না। বৌদ্ধমূর্তির সাথে ব্রাহ্মণ্য মূর্তির সমাবেশ থেকে এটিই ধারণা করা হয় যে হিন্দু দেবদেবী ক্রমান্বয়ে বৌদ্ধধর্মে অনুপ্রবেশ করেছিল। এটি ক্রমে বৌদ্ধধর্মের প্রতি এক চ্যালেঞ্জ রূপে দেখা দেয়। প্রায় এক শতাব্দী পরে ইউরোপে যেমন ক্যাথলিক ধর্মমতের সাথে সংস্কারবাদীদের সংঘাত বাধে, তেমনটি ঘটনা এখানে ঘটেছিল। বৌদ্ধধর্ম এক ধরনের গুহ্যতান্ত্রিক রূপ নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করল। ক্রমান্বয়ে হিন্দুধর্মের সাথে মিশ্রিত হয়ে বৌদ্ধধর্মের এমন অবস্থা দাঁড়ালো যে এই দুই ধর্মের মধ্যকার পার্থক্য নির্ণয় করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ল। অবশেষে দ্বাদশ শতাব্দীর শেষে এসে যখন এই উপমহাদেশে ইসলামের আগমন ঘটল তখন বৌদ্ধধর্মের ক্ষীণ প্রবাহটুকুও নিঃশেষ হয়ে গেল।

তথসুত্রঃ

*বিশ্ব সভ্যতা অ শিল্পকলা

*Wikipedia

 

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন-জীবনী ও দূর্ভিক্ষ চিত্রমালা

জয়নলু আবেদিন (২৯ডি সে ম্বর ১৯১৭ – ২৮ মে ১৯৭৬) একজন বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী ছিলেন যিনি ময়মনসিংহ, পূর্ববঙ্গ,ব্রি টিশ ভারতের (বর্তমানে বাংলাদেশ) জন্মগ্রহণ করে ছিলেন। তিনি ১৯৪৪ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে বাংলার কিছু বড় দুর্ভিক্ষের চিত্রিত করে তার ধারাবাহিক  চিত্রকর্মে মাধ্যমে সুপরিচিত হন। ভারতীয় উপমহাদেশ বিভক্তির পর তিনি পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদে শ) চলে আসেন। ১৯৪৮ সালে , তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউট অফ আর্টস অ্যান্ড

ক্রাফটস (বর্তমানে চারুকলা অনষুদ) প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তাকে একজন কিংবদন্তি বাংলাদে শী চিত্রশিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে সামনে নিয়ে আসে। তাঁর সমসাময়িক অনেকের মতো, ১৯৪৩ সালের বাংলার দূর্ভিক্ষের উপর তাঁর চিত্রকর্মগুলোকে তাঁর সবচেয়ে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কাজ হিসাবে দেখা হয়। তাঁর শৈল্পিক এবং দরূদর্শী গুণাবলীর জন্য তাঁর জন্মভূমি তাঁকে “শিল্পাচার্য” উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছিল। তিনি বাংলাদেশে সংঘটিত আধুনিক শিল্প আন্দোলনের পথপ্রদর্শক ছিলেন এবং বাংলাদেশ একটি স্বাধীন প্রজাতন্ত্রের মর্যাদা অর্জনের পরপরই  সৈয়দ মনজরুল ইসলাম বাংলাদেশী আধুনিক শিল্পকলার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাকে যথাযথভাবে বিবেচনা করেছিলেন।

জয়নুল আবেদিন -২

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষাঃ

 জয়নলু আবেদীন ১৯১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর  কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশবের বেশি রভাগ সময় কেটেছে ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে । ব্রহ্মপুত্র তার সমগ্র কর্ম জীবনে অনপ্রেুপ্রেরণার উৎস হয়েছিল । তাঁর অনেকগুলি কাজ ব্রহ্মপুত্র নিয়ে এবং জলরঙে র একটি সিরিজ যা আবেদিন নদীর প্রতি শ্রদ্ধা হিসাবে করেছিলেন এবং ১৯৩৮ সালে একটি সর্বভারতীয় প্রদর্শনীতে গভর্নরের স্বর্ণপর্ণ দক অর্জন করেছিলেন। এই প্রথমবার যখন তিনি স্পটলাইটে আসেন।

১৯৩৩ সালে , আবেদিন কলকাতার গভর্নমেন্ট স্কুল অফ আর্ট ভর্তি হন। এখানে পাঁচ বছর ধরে তিনি ইউরোপীয় একাডেমিক স্টাইল শিখেছেন এবং পরে স্নাতক শেষ করে একই স্কুলের ফ্যাকাল্টিতে যোগ দেন। তিনিই প্রথম মসুলিম ছাত্র যিনি স্কুল থেকে প্রথম শ্রেণীর ফলাফল অর্জন করে ন। তিনি প্রাচ্য শৈলী এবং ইউরোপীয় একাডে মিক শৈলীর সীমাবদ্ধতার প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন এবং এটি তাকে বাস্তববাদের দিকে নিয়ে যায়। ১৯৪৮ সালে কয়েকজন সহকর্মীর সহায়তায় তিনি ঢাকায় একটি আর্ট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। তখন ঢাকা শহরে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান ছিল না। শীঘ্রই, এটি তার প্রথম বছরগুলিতে পাকিস্তানের সেরা শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিবে চিত হয়। তিনি ইনস্টিটিউটে  শিক্ষকতা করতেন এবং তার ছাত্রদের মধ্যে ছিলেন পাকিস্তানি শিল্পী মনসুর রাহী। তিনি মনিরুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ কিবরিয়ার মতো বাংলাদেশী শিল্পীদের ও শিক্ষা দিতেন।

লন্ডনের স্লেড স্কুল অফ ফাইন আর্ট থেকে তার দইু বছরের প্রশিক্ষণ শেষ করার পর, তিনি একটি নতুন শৈলী শুরু করেন, ‘বাঙালি শৈলী’, যেখানে প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি ছিল : জ্যামিতিক আকার সহ কোলাজ ফর্ম, কখনও কখনও আধা-বিমূর্ত উপস্থাপনা এবং প্রাথমিক  রং এর ব্যবহার অন্যতম। পরবর্তীতে তিনি  লোকশিল্পের সীমাবদ্ধতা উপলব্ধি করেন, তাই তিন প্রকৃতি , গ্রামীণ জীবন এবং মানুষের নান্দনিক সংগ্রামে ফিরে যান।

দুর্ভিক্ষ চিত্রমালা

জয়নুল আবেদিন -৪ artweb bd
জয়নুল আবেদিন -৫ artweb bd

আবেদিনের সমস্ত সমসাময়িক কাজে র মধ্যে ১৯৪৪ এর দুর্ভিক্ষের স্কেচ গুলি তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ। তার  দুর্ভিক্ষ চিত্রকলার সিরিজ যা ১৯৪৪ সালে প্রদর্শিত হয়েছিল, তাকে আরও বেশি সমালোচকদের প্রশংসা এনে দেয়। ১৯৪৩ সালে বাংলার মহা দুর্ভিক্ষের সময় অনাহারী মানুষের করুণ অবস্থা তাঁর হৃদয়কে স্পর্শ করেছিল। কাঠকয়লা জ্বালিয়ে তিনি নিজের কালি তৈরি করেন এবং সস্তা, সাধারণ প্যাকিং কাগজে ব্যবহার করেন। তিনি রাস্তার ধারে মারা যাওয়া ক্ষুধার্তমানষুদের চিত্রিত করেছেন। আবেদিন শুধু দুর্ভিক্ষের নথি পত্রই নথিভুক্ত করেননি , তিনি দর্ভিুর্ভিক্ষের ভয়ঙ্কর চেহারাও প্রকাশ করেছেন অনাহারে মারা যাওয়া মানুষের কঙ্কাল  চিত্রের মাধ্যমে ।

আবেদীন এই অমানবিক গল্পটি অত্যন্ত মানবি ক আবেগ দিয়ে চিত্রিত করেছেন। এই অঙ্কনগুলি মানুষের কষ্টের আইকনিক চিত্র হয়ে উঠেছে । এই স্কেচগুলি তাকে একটি বাস্তবসম্মত পদ্ধতিতে তার পথ খুজেঁ পেতে সাহায্য করে ছিল যা মানুষের দুঃখ, সংগ্রাম এবং প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে ।

বিদ্রোহী গরু সেই শৈলীর একটি উচ্চ বিন্দু চিহ্নিত করে । বাস্তববাদের এই বিশেষ ব্র্যান্ডটি উচ্চতর নান্দনিকতার সাথে সামাজিক অনসুন্ধান এবং প্রতিবাদকে একত্রিত করে । তিনি কলকাতার প্রগতি শীল শিল্পীগোষ্ঠীর একজন প্রভাবশালী সদস্য ছিলেন এবং প্রগতিশীল লেখক আন্দোলনের শহীদ সহরাওয়ার্দী ও আহমে দ আলীর বন্ধুছিলেন। তিনি সাঁওতাল মানুষের আধুনিকতাবাদী চিত্রকর্ম  তৈরি করে ছিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল “দুই সাঁওতাল মহিলা”।

তিনি ১৯৭০ সালে সিরিয়া এবং জর্ডানে ফিলিস্তিনি শিবির পরিদর্শন করেন এবং সেখানে উদ্বাস্তুদের ৬০-৭০টি চিত্রকর্ম তৈরি করেন।

মোনালিসা চিত্রকর্মের রহস্য ও ল্যুভর মিউজিয়াম

মোনালিসা -লিওনার্দো দা ভিঞ্চির তৈরি, তার সময়ের সবচেয়ে বিখ্যাত চিত্রশিল্পী, ১৫০৩ সালের দিকে, এই চিত্রকর্মটি একজন ধনী ইতালীয় বণিক, ফ্রান্সেস্কো দেল জিওকোন্ডো বায়না দিয়েছিলেন, তিনি তাদের নতুন বাড়িতে তার স্ত্রী লিসার একটি প্রতিকৃতি স্থাপন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এই উৎপত্তি নিয়ে আজও সন্দেহ রয়ে গেছে…

১৫০৬ সালে লিওনার্দো দা ভিঞ্চি যখন ফ্লোরেন্স ছেড়ে মিলানে চলে যান তখন চিত্রটি সম্ভবত অসম্পূর্ণ ছিল, তারপর, দশ বছর পর ফ্রাঁসোয়া দ্বারা প্রথম আমন্ত্রিত হয়ে তিনি কাজটি ফ্রান্সে নিয়ে যান। এর পরিচয়ের মতো, মোনালিসার গল্প এবং প্যারিসে তার যাত্রা অস্পষ্ট থেকে যায়। ফ্রান্সেস্কো দেল জিওকোন্ডো একবার প্রতিকৃতিটি দেখে আনন্দ পেয়েছিলেন কিনা বা কীভাবে এটি রাজকীয় সংগ্রহে প্রবেশ করেছে তা জানা যায়নি।

ফরাসী বিপ্লবের পর যখন ল্যুভর মিউজিয়াম তৈরি করেছিল, তখন ভার্সাইতে চিত্রকর্মটি দেখানোর জন্য রাখা হয়নি। এটি ১৭৯৮ সালে যাদুঘরে প্রবেশ করে। ১৮০১ সালে, মোনালিসা যাদুঘরে ফিরে আসার আগে জোসেফাইন ডি বিউহারনাইসের অ্যাপার্টমেন্টে টুইলারিতে এটি সল্প সময়ের জন্য অবস্থান করেছিল।

 

প্রতিকৃতিটি লুভর মিউজিয়ামের মধ্যে বুলেটপ্রুফ কাঁচের পিছনে রয়েছে এবং প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শক ছবিটি দেখতে আসে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত পেইন্টিং, এবং দর্শকরা যখন আর্টওয়ার্কটি কাছাকাছি দেখতে পায়, তখন তারা একজন সাধারণ মহিলার ছোট দমিত প্রতিকৃতি দেখে বিস্মিত হয়। তার হাসি এবং দৃষ্টি সম্পর্কে অনেক কিছু বলা হয়েছে, তার রহস্যময় চেহারার পাশাপাশি, শিল্পীর কাজের জনপ্রিয়তার অনেকগুলি কারণের মধ্যে একটি। তবে সবচেয়ে বাধ্যতামূলক যুক্তিগুলি জোর দিয়ে বলে যে এর কোন ব্যাখ্যা নেই। মোনালিসার খ্যাতি পেইন্টিংয়ের অন্তর্নিহিত আবেদনের সাথে মিলিত অনেক সম্ভাবনাময় পরিস্থিতির ফলাফল।

মোনালিসা যে খুব ভালো পেইন্টিং তাতে কোনো সন্দেহ নেই। লিওনার্দো এটিতে কাজ করার পরে ,তার সমসাময়িক উপন্যাস থ্রি-কোয়ার্টার পোজটি প্রকাশ পায় । লেখক জর্জিও ভাসারি লিওনার্দোর প্রকৃতিকে ঘনিষ্ঠভাবে অনুকরণ করার ক্ষমতার প্রশংসা করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, মোনালিসা একটি খুব বাস্তব প্রতিকৃতি। এটি একটি শৈল্পিক কৌশল যা মডেল ফর্মের জন্য আলো এবং ছায়ার সূক্ষ্ম গ্রেডেশন ব্যবহার করেছে এবং ত্বকের নীচে মাথার খুলি সম্পর্কে উপলব্ধি করায় । সূক্ষ্মভাবে আঁকা ঘোমটা, সূক্ষ্মভাবে তৈরি ড্রেস এবং ভাঁজ করা কাপড়ের যত্ন সহকারে উপস্থাপনা লিওনার্দোর অধ্যয়ন , পর্যবেক্ষণ এবং অক্ষয় ধৈর্য প্রকাশ করে।

এটি ফ্রান্সের রাজা ফ্রান্সিস এর কাছ থেকে প্রথম ল্যুভরে পৌঁছেছিল, যার দরবারে লিওনার্দো তার জীবনের শেষ বছরগুলি কাটিয়েছিলেন। পেইন্টিংটি রাজকীয় সংগ্রহের অংশ হয়ে ওঠে, এবং কয়েক শতাব্দী পরে, প্রতিকৃতিটি ফরাসি প্রাসাদে ছিল । নেপোলিয়নের বেডরুমে থাকার পর, মোনালিসা ১৯ শতকের শুরুতে ল্যুভর মিউজিয়ামে স্থাপন করা হয়েছিল। এরপর ল্যুভরে পৃষ্ঠপোষকতা যেমন বেড়েছে, তেমনি চিত্রকলার স্বীকৃতিও বেড়েছে।

 

অনেক পণ্ডিত বিশ্বাস করেন যে, চিত্রকর্মটিতে ফ্লোরেন্টাইন বণিক ফ্রান্সেসকো দেল জিওকোন্ডোর স্ত্রী লিসা ঘেরার্ডিনিকে চিত্রিত করা হয়েছে, যদিও ফ্রান্সেস্কোর কাছ থেকে এমন কমিশনের কোনও রেকর্ড নেই । ফরাসি লেখক থিওফিল গৌটিয়ার তাকে “অদ্ভুত সত্তা…তার দৃষ্টি অজানা আনন্দের প্রতিশ্রুতি দেয়” হিসাবে বর্ণনা করেছেন, অন্যরা তার ঠোঁট এবং মায়াবী হাসির কথা বলেছিল। ইংরেজ লেখক ওয়াল্টার প্যাটার তাকে একজন ভ্যাম্পায়ার বলে অভিহিত করেছেন যে “অনেকবার মারা গেছে এবং এই নারী কবরের গোপনীয়তা শিখেছে।” ১৯ শতকে মোনালিসাকে ঘিরে যে রহস্যের বাতাস এসেছিল তা পেইন্টিংকে তা পেইন্টিং কে ঘিরে জল্পনা আঁকতে থাকে।

How To Make Easy Paper Flower || সহজ কাগজের ফুল || কিন্ডারগার্টেনের জন্য কাগজের ফুলের কারুকাজ

কীভাবে সহজে কাগজের ফুল তৈরি করবেন?
এটি বাচ্চাদের জন্য একটি কাগজের ফুল। ভিডিওটি মনোযোগ সহকারে দেখুন, প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ এবং আপনি ঘর সাজানোর জন্য সহজ কাগজের ফুল তৈরি করতে পারেন।
আরো ভিডিও পেতে লাইক, শেয়ার এবং সাবস্ক্রাইব করুন।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
1. অরিগামি কাগজ এবং
2. কাঁচি
3. রঙিন কলম
আমি নিশ্চিত যে আপনি কাগজের ফুলের ঠিক একই আউটপুট পাবেন। আপনি যদি সাবধানে আমার পদক্ষেপ / নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন. এটা জুড়ে খুব সুন্দর দেখায়. আপনি স্কুল অ্যাসাইনমেন্ট হিসাবে ইজি পেপার ফ্লাওয়ার তৈরি করতে পারেন।

WATCH OUR OTHER VIDIOS:

Greeting Card Making With Paper And Glue: https://youtu.be/O-3wvNKt_m4 Easy

Duck Drawing For Kids : https://youtu.be/2VZs1WKvwWA Fish Origami Easy :https://youtu.be/FdaLzyq_EH8

How To Make A Easy Box : https://youtu.be/fpNpd3-yCaQ

How to Draw a Cow For Kids :https://youtu.be/1NuL95Zal4w

How to Make Paper CAT origami: https://youtu.be/KBX7rnta2Bg Monster Doodle Drawing:https://youtu.be/nhdqDLQzuOc

Monster Doodles Art: https://youtu.be/Sngrad61Z1c

VISIT OUR SOCIAL LINKS: To buy ALL our ART MATERIALS and CRAFT products,Visit: https://artwebbd.com/

FACEBOOK:@ArtwebBangladesh

https://m.facebook.com/ArtwebBangladesh/

TWITTER:@artwebbd

INSTAGRAM:@artwebbd

https://www.instagram.com/artwebbd/

MAIL US: [email protected]

#artwebbd #paperflower #crafttutorials #easypapercraft

Easy Paper Bird || Easy Paper Bird Making || Easy Paper Bird Craft

How to make Easy Paper Bird ? Watch the video carefully, the process is so easy and you can make Easy Paper Bird For Home Decoration. Like ,share and subscribe for more videos. Necessary Materials: 1. Origami paper & 2. Scissors 3. Color pen I am sure you will get exactly the same output of Paper Bird . If you follow my steps/ instructions carefully. It looks very beautiful throughout . You can make Easy Paper Bird as school assignment . _____________________________________________________________________ WATCH OUR OTHER VIDIOS:

Greeting Card Making With Paper And Glue: https://youtu.be/O-3wvNKt_m4

Easy Duck Drawing For Kids : https://youtu.be/2VZs1WKvwWA

Fish Origami Easy :https://youtu.be/FdaLzyq_EH8

How To Make A Easy Box : https://youtu.be/fpNpd3-yCaQ

How to Draw a Cow For Kids :https://youtu.be/1NuL95Zal4w

How to Make Paper CAT origami: https://youtu.be/KBX7rnta2Bg

Monster Doodle Drawing:https://youtu.be/nhdqDLQzuOc

Monster Doodles Art: https://youtu.be/Sngrad61Z1c

VISIT OUR SOCIAL LINKS: To buy ALL our ART MATERIALS and CRAFT products,

Visit: https://artwebbd.com/

FACEBOOK:@ArtwebBangladesh

https://m.facebook.com/ArtwebBangladesh/

TWITTER:@artwebbd

https://twitter.com/artwebbd

INSTAGRAM:@artwebbd https://www.instagram.com/artwebbd/?h…

MAIL US: [email protected]

#artwebbd #paperbird #crafttutorials #easypapercraft